গাজীপুরের আক্কাস মার্কেট থেকে টঙ্গী-জয়দেবপুর সড়ক ধরে কিছুটা এগোলে দাক্ষিণখান এলাকায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়ি দেখা যায়, যেখানে বাড়ির প্রধান ফটকে দুটি তালা ঝুলছে। বাড়ির সামনে ছড়িয়ে পড়া ভাঙা কাচ, কাঠ এবং সিরামিকের টুকরা, এবং আশপাশে ৪০-৫০টি বাড়ি অধিকাংশই ফাঁকা। গত শনিবার বিকেলে এই চিত্র দেখা গেছে, যখন সড়কে মানুষ বা যানবাহন চলাচল করছে না।
গত শুক্রবার রাতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার পর থেকে পুরো দাক্ষিণখান এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। হামলার ঘটনায় পুলিশি হয়রানি এবং গ্রেপ্তারের ভয়েই অনেক বাসিন্দা তাদের বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন, যার ফলে এলাকার বেশিরভাগ বাড়িতেই তালা ঝুলছে এবং সড়কে লোকজন নেই। স্থানীয়দের মতে, ঘটনার পর পরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে কিছু লোককে আটক করে নিয়ে যায়, যা আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দেয়।
মোজাম্মেল হকের বাড়ির পাশের আবুল বাছেতের বাড়ির ফটকও বন্ধ ছিল এবং তার স্ত্রী কুলসুম বেগম জানান, হামলার সময় মসজিদে ঘোষণা দিয়ে জানানো হয়েছিল যে ডাকাতির চেষ্টা চলছে। এর পরেই এলাকাবাসী হামলায় অংশ নেয়, পরে কিছু শিক্ষার্থী আহত হয়। হামলার পর থেকেই এলাকাবাসী বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন এবং ঘর-দোর বন্ধ রাখেন।
এছাড়া, মসজিদ সংলগ্ন এক নারী বাসিন্দা জানালেন, হামলার ঘটনার পর মসজিদে তালা দেওয়া হয় এবং এখন কেউ নামাজ পড়তে আসছেন না, কারণ তারা হয়রানির ভয়ে বাইরে বের হতে চাইছেন না। আফিয়া বেগম নামে আরেক বাসিন্দা বললেন, পূর্বে সড়কটি ছিল প্রাণবন্ত, তবে এখন পুরো এলাকা যেন শ্মশান হয়ে গেছে, কারণ আর কেউ সড়কে হাঁটাচলা বা খেলাধুলা করছে না।